Ticker

6/recent/ticker-posts

মেসওয়াক করার পদ্ধতি গুরুত্ব ও ফজিলত।

 মেসওয়াক কী

 মেসওয়াক হলো মুসলমানদের দাঁত মাজার উপকরণ যা একটি গাছের ডাল, কাঠ বা শিকড়'ও হতে পারে। এটি মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সুন্নাহ পদ্ধতি। السواك (মিসওয়াক) শব্দটি ساك (সিওয়াক) শব্দমূল থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হল ঘষা, মাজা বা মর্দন করা। এর সবচেয়ে কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ হল দাঁতন। ইসলামি পরিভাষায়, দাঁত থেকে হলুদ বর্ণ বা এ জাতীয় ময়লা দূর করার জন্য কাঠ বা গাছের ডাল ব্যবহার করাকে মিসওয়াক বলে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ায় এটি বাংলা ভাষার'ও একটি শব্দ। এটি 'মেসওয়াক' নামে আত্তীকৃত হয়েছে। 


মেসওয়াক সম্পর্কে হাদিসে অনেক উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে ২০ টি উপকারিতা দেওয়া হলো

০১। এর দ্বারা আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জন হয়। 


০২। নামাজের ফজিলত ৭৭ গুণ বৃদ্ধি করে দেয় হয়। আর ইমাম ত্বহাবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নামাযের ফযীলত ৯৩ গুণ .থেকে ৪০০ গুণ বৃদ্ধির বর্ণনা করা হয়েছে। 


০৩। সচ্ছলতা বয়ে আনে। 


০৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় । 


০৫। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় । 


০৬। মাথা ব্যথা দূর হয় । 


০৭। দাঁতের পীড়া-ব্যথা দূর হয়। 


০৮। ফেরেশতারা নূরানী চেহারায় মুছাফাহা করে। 


০৯। দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। 


১০। হযরত আলী (রাযিঃ) ও হযরত আনাছ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মেসওয়াক করার বরকতে রিজিক সহজে উপার্জন হয়। 


১১। মস্তিস্ক ঠান্ডা থাকে। 


১২। দাঁত শক্ত থাকে। 


১৩। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। 


১৪। পাকস্থলী কর্মক্ষম থাকে। 


১৫। শরীর শক্তিশালী থাকে। 


১৬। বাকশক্তি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। 


১৭। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। 


১৮। জ্ঞান বাড়ায়। 


১৯। অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়। 


২০। নেকী বৃদ্ধি পায়।


মেসওয়াক করার নিয়ম

 মিসওয়াক করার সুন্নত পদ্ধতি হলো, ডান হাতে মিসওয়াক নিয়ে ডান দিক থেকে মিসওয়াক শুরু করা। দাঁতে প্রস্থে ও জিহ্বায় লম্বালম্বি মিসওয়াক করা সুন্নত। উল্লেখ্য, মিসওয়াক কনিষ্ঠ আঙুল পরিমাণ মোটা ও এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া মুস্তাহাব এবং মিসওয়াক নিম বা জয়তুনগাছের ডাল হওয়া উত্তম। (আল বিনায়াহ)

আল্লাহ তাআলা আমাদের মেসওয়াক করার তৌফিক দান করুক (আমিন)

 

 

Post a Comment

0 Comments